ক্লাবে ক্যাসিনো আর ফ্ল্যাটে ফ্লাটে জুয়ার আড্ডাখানার সব খবরই জানতো পুলিশ। এগুলো নিয়ে তিন বছর ধরে লিখিত অভিযোগও পেয়েছে পুলিশ। শুধু নেয়া হয়নি ব্যবস্থা। ক্ষমতাবানদের প্রভাবেই এসব অভিযোগ ‘ডিপফ্রিজে’ চলে যায়। এরকম নানা অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ আছে যমুনা নিউজের কাছে। যদিও পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, আগে ব্যবস্থা নেয়া না হলেও এখন আর ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
ক্যাসিনোর এসব সরঞ্জাম আর এখান থেকে শত শত কোটি টাকা আয়ের কথা শুনে চক্ষু চড়কগাছ সবার। কিন্তু, এসব কি একদিনে হয়েছে? খোদ পুলিশ থেকে বলা হচ্ছে, ক্যাসিনোর এতোটা প্রসারের বিষয়ে নাকি কিছুই জানা যায়নি। অথচ সবই জানতো পুলিশ। শুধু কি পুলিশ, খবর ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা দফতরে।
প্রায় আড়াই বছর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, মোবারক খান নামে একজন এনিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল, বনানী, উত্তরা, কলাবাগানের বিভিন্ন ক্লাবে চলে কোটি কোটি টাকার জুয়ার আসর। সেসব আসরে সেই সময়েই যোগ হয় ক্যাসিনোর সরঞ্জাম। এসব তথ্য জানানো হয় লিখিত অভিযোগে। তখন সেই অভিযোগ, পুলিশ সদর দফতরকে লিখিতভাবে জানায় মন্ত্রণালয়। পুলিশ সদর দফতর এই বিষয়টি দেখতে বলে ডিএমপিকে। পুলিশ তখন, পল্টনের জামান টাওয়ারের জুয়ার আসর বন্ধ করে। বাকি ক্লাবে ক্যাসিনো থেকে যায় রমরমা। যদিও পুলিশের দাবি, তারা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিয়েছে।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি, মতিঝিল থানার ওসি ফকিরেরপুল ও মতিঝিলের ক্লাবগুলোতে একটি নোটিশ দেয়। কিন্তু, সরেজমিন গিয়ে এসব বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আগে যা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি আর হবে না। ছাড় পাবে না কেউই।
এতুটুক নিশ্চিত, ৪/৫ বছর ধরে ক্যাসিনো চললেও, অন্তত দেড়-দুই বছর আগে যদি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে অল্প সময়েই টাকার কুমির হতো না অনেকে। নেপালীদের সাহায্যে টাকাও পাচার হতো না বিদেশে।
Leave a reply