ইংরেজদের প্রণীত শিক্ষানীতি সমাজে বিভক্তি ও শ্রেণীবৈষম্য সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বুধবার ইসলামাবাদে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, রাসূল (সা.) সবচেয়ে বেশি শিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। মুসলমানরা শিক্ষা ও সংস্কৃতি দিয়েই বিশ্বজয় করেছে। ইংরেজরা পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের শিক্ষাখাত ধ্বংস করে দিয়েছে। ইংরেজদের প্রণীত শিক্ষানীতি সমাজে বিভক্তি ও শ্রেণীবৈষম্য সৃষ্টি করেছে।
ইমরান খান বলেন, যখন ইংরেজ ভারতবর্ষ দখল করে, তখন দিল্লীর মাদ্রাসা দুটি সেখানকার কলেজের চেয়ে ভালো মানের ছিল। অক্সফোর্ড ক্যামব্রিজের সঙ্গে সেগুলোর তুলনা চলত। তখনকার যুগে মাদ্রাসাগুলোর ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল। যেগুলো দ্বারা মাদ্রাসাগুলো চলত এবং আলেমদের ভাতা দেয়া হত। এগুলোকে তারা বাজেয়াপ্ত করল। এবং এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করল, যা বৈষম্যমূলক।
এ ব্যবস্থায় সমাজের একটি স্তরকে অধিক মর্যাদা দিয়ে অন্যদের নীচু হিসেবে উপস্থাপন করল। ইংলিশ মিডিয়ামে যারা পড়ে তাদের মর্যাদা বেশি। মাদ্রাসাপড়ুয়াদের তা নেই। এভাবে তারা বৈষম্য সৃষ্টি করল। এটা আমাদের দূর করতে হবে। মাদ্রাসাপড়ুয়াদের সুযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলমানরা যখন শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ল, তখন তারা সবদিক থেকে অধঃপতনের স্বীকার হল। যার কারণে এখন আমাদের দেশে ৩ ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় বিষয়গুলোর পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। ইংরেজি, উর্দূ মাধ্যম থেকে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিচ্ছিন্ন করাটা ন্যায়সঙ্গত নয়।
সূত্র: ডন, অ্যারে টিভি।
Leave a reply