শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৭টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে তিনটি প্রকল্পের।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ত্রিপুরায় সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে ফেনী নদী থেকে থেকে ১ দশমিক আট দুই কিউসেক পানি প্রত্যাহার বিষয়ে বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যেকার চুক্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তিও সই হয়েছে।
ভারতের পণ্য পরিবহণে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার; উপকূলীয় নিরাপত্তায় সাবর্ক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, ফেনী নদীর ১.৮ কিউসেক পানি প্রত্যাহার বিষয়ক সমঝোতা, ঢাকা-হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক সই হয়।
এছাড়া, সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ক চুক্তি নবায়ন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে সমঝোতা এবং ভারত থেকে নেয়া ঋণ বাস্তবায়নে দু’দেশের মধ্য চুক্তি হয়।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের মধ্যেকার মৈত্র্য সবসময় অটুট থাকবে।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সুসম্পর্কের ভিত্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পেরে, নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। গেলো এক বছরে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা এক ডজন প্রকল্প উদ্বোধন করলাম। ভিন্ন-ভিন্ন খাতের প্রকল্প হলেও, সবগুলোর উদ্দেশ্যেই দু’দেশের নাগরিকদের সেবা ও উন্নয়ন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতে এলপিজি রফতানির বিষয়ে সম্মত হয়েছে দু’দেশ।
এর আগে, দিল্লীতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর।
Leave a reply