এবার রাজধানীতে তৈরি হবে সাবওয়ে বা পাতাল রেল। একটি রুট এয়ারপোর্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে কমলাপুর স্টেশনে। অন্যটিতে ট্রেন চলবে আমিনবাজার-ভাটারা রুটে। নতুন দুটি মেট্রোরেল নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার সকালে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাপানের অর্থায়নে ২০২৬ সালের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ সব প্রকল্পে আনুমানিক মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫.২৩ কোটি টাকা।
তিনি জানান, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৩০ হাজার ৪৬৬.০২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে, ৫১৫.৮৪ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে এবং ৬৯ হাজার ৪৩.৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।প্রথম দফায় মেট্রোরেলের এমআরটি-১ রুটের আওতায় ট্রেন চলবে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। স্টেশন থাকবে যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, বাড্ডা, হাতিরঝিলসহ ১২টি পয়েন্টে। এতে ট্রেন থামবে কম-বেশি ৩০ সেকেন্ডের জন্য। ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে ২০ মিনিট।
আরেক রুট এমআরটি- ৫’র আওতায় তৈরি হবে ২০ কিলোমিটার ট্র্যাক। এর মধ্যে পাতাল রেল চলবে আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত। বাকি সাড়ে ৬ কিলোমিটার পথে, অর্থাৎ হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার রুটে তৈরি হবে উড়াল বা এলিভেটেড রেলপথ।
মাটির নীচে থাকবে ৩ তলা টার্মিনাল। চলন্ত সিড়ি ও লিফটে হবে ওঠা-নামা। আলাদা আসন থাকবে নারী, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। মন্ত্রী জানান, মেট্রোরেলের তত্ত্বাবধানে থাকা কোম্পানি ডিএমটিসিএল-কে আগামীতে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ১ লাখ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
Leave a reply