কাল রংপুর সিটি নির্বাচন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। আগ্রহ তৈরি হয়েছে রংপুরের বাইরের মানুষের মাঝেও। এর আগে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষামুলক ব্যবহার হলেও রংপুরে এবারই প্রথম এর ব্যবহার হবে। যদিও নির্বাচন কমিশন মেশিনটির নাম দিয়েছে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন বা ডিভিএম।
নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর ভোটকেন্দ্রে ডিভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৫৯ জন। নিউ শালবন ও শালবন এলাকার ভোটাররা ছয় কক্ষে ভোট প্রদান করবেন।
২০১৬ সালে ইসি নিজ উদ্যোগে ডিভিএম বানানো তৈরি শুরু করে। রংপুর সিটিতে ইসির তৈরি যন্ত্রটির প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহার হচ্ছে।
২০১০ সালে সীমিত পরিসরে ব্যবহার শুরু হলেও বুয়েটের তৈরি ওই সব ইভিএমের কারিগরি ত্রুটি এবং রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে ২০১২ সালের পর আর কোনো নির্বাচনে তা ব্যবহৃত হয়নি।
আগামীকাল নির্বাচনের আগে বুধবার মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনী প্রচারণা। আর সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী লড়লেও মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিন প্রার্থীর মধ্যে। ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২১২ জন আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৬৫ জন। সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার, যাদের বেশির ভাগই নারী। ভোটগ্রহণ হবে ১৯৩টি কেন্দ্রে।
নতুন ডিভিএম কীভাবে কাজ করবে:
একজন ভোটার আঙুলের ছাপ বা স্মার্ট কার্ড বা ভোটার নম্বর ব্যবহার করে ভোট দিতে পারবেন। আঙুলের ছাপ বা কার্ড, ভোটার নম্বর দেওয়ার পর একটি প্রজেক্টরে ওই ভোটারের ছবি ভেসে উঠবে। সঙ্গে একটি কিউআর কোড প্রিন্ট হবে। কিউআর কোডটি নিয়ে ভোটার যাবেন ব্যালট ইউনিটে।
সেখানে নির্দিষ্ট জায়গায় কিউআর কোডটি ধরলে ব্যালট অ্যাক্টিভেটেড হবে। তখন ভোটার পোলিং বুথে গিয়ে যন্ত্রে ভোট দেবেন। ভোট দেওয়ার পর তা আবার নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a reply