শুদ্ধি অভিযানের ধারাবাহিকতায় হতে যাচ্ছে টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। দুর্নীতি-অনিয়ম আর বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িতদের বাদ দিয়ে পনর্গঠন হতে পারে দেশের পুরোনো দলটির কমিটি। এরইমধ্যে যা দেখা গেছে, সহযোগি সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে।
তবে এবারের সম্মেলনে আ’লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও চমক দেখা যেতে পারে দলের এবারের সম্মেলনে। জানাগেছে, সভাপতি মণ্ডলী থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকা অনেকেই বাদ পড়বেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে আনা হবে বিভিন্ন জেলা কমিটির অন্তত ১৫ নেতাকে। চমক হিসেবে নতুন ৫ নারীকেও স্থান দেয়া হতে পারে কমিটিতে। একইসঙ্গে মন্ত্রী এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার নীতিও আমলে নেয়ার কথা জানালেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা।
তবে এবারও কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের ইচ্ছায় আবারও সভাপতি শেখ হাসিনা। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী, নেতাকর্মীদের সময় দেয়াসহ বিতর্ক কম থাকায় ওবায়দুল কাদেরের সাধারণ সম্পাদক থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আ’লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, সাধারণ সম্পাদকের পদটা এবারের সম্মেলনে পরিবর্তন হবেনা। কারণ ওবায়দুল কাদের সাহেব খুব সময় দিচ্ছেন দলের জন্য। তাই আমরা মনে করছি তিনি এবারের সম্মেলনে পরিবর্তন হবেন না।
তবে চমক থাকবে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে। দুর্নীতি, তৃণমূলে কোন্দল ও বিতর্কিত ভূমিকার কারণে বেশ কটিপদে আসবে বড় পরিবর্তন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসতে পারে অন্তত ৫টি নতুন মুখ।
দলের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য লে.কর্ণেল(অব)ফারুক খান বলেন, সহযোগী সংগঠনগুলো থেকেও অনেকে নেতৃত্বে আসতে পারেন এবারের সম্মেলনে।
বিভিন্ন জেলা কমিটির অন্তত ১৫ নেতা স্থান করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বাড়ছে নারী নেতৃত্বের সংখ্যা। থাকবে সরকার এবং দল আলাদা করার চেষ্টা।
কাউন্সিলে নির্বাচিতরা কাজ করবেন ২০৪১ সালের বাংলাদেশ বিনির্মাণে- এমন লক্ষ্যেই গঠিত হবে কমিটি।
Leave a reply