কাজের মাঝেই নিত্যবসবাস। নাগরিক ব্যস্ততা তো তা নিয়েই। কাজেই মুক্তি, কাজেই আনন্দ। কিন্তু এ কাজটাই অনেক সময় মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি সেটা হয় অফিসের অত্যাধিক কাজের চাপ। অতিরিক্ত কাজ নয়। সেটা শারীরিক নানা ঝুঁকির সঙ্গে বাড়ায় মানসিক ঝুঁকিও। তাই চাপে নয়, কাজ হোক আনন্দের সঙ্গে। কাজের চাপ কমিয়ে ফেলার কিছু কৌশল জানা থাকলে তখন আর সেটা আত্মঘাতী হবে না। হবে আনন্দের।
সমান্তরালে অনেক কাজ নয়
আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি একসঙ্গে একাধিক কাজ করার প্রবণতা কাজ করে। একসঙ্গে একাধিক কাজ করলে অল্প সময়ে কাজ ঠিকই কমে যায় কিন্তু এতে করে আপনার মধ্যে যে কাজের চাপ সৃষ্টি হয় তা শারীরিক আর মানসিকভাবে আপনাকে দুর্বল করে তোলে। তাই কর্মক্ষেত্রে একইসঙ্গে একাধিক কাজ করার প্রবণতা বন্ধ করুন।
সংগঠিত আমি
কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ কমানোর আরও একটি কার্যকরী উপায় হল কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সংগঠিত থাকা। সহকর্মীর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা আপনার প্রতিযোগীর বদলে সহযোগীতে রূপান্তরিত হয়, আর যেটা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে চনমনে আর স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
পরিপক্ব মানিয়ে নিতে
কাজের জায়গায় যত তাড়াতাড়ি আপনি নিজেকে মানিয়ে নেবেন কাজের ওপরের চাপ তত আপনার কাছে কম হতে থাকবে। যে চেয়ারটায় বসে আপনি কাজ করবেন সেটি যদি আপনার কাছে আরামদায়ক না মনে হয় তাহলে আপনি যেমন স্বস্তিতে বসে কাজ করতে পারবেন না ঠিক একইভাবে কর্মস্থলকে মানিয়ে নিতে না পারলে আপনি কাজের চাপ এড়িয়ে কাজ করতে পারবেন না।
সকালবেলার পাখি
১০ থেকে ২০ মিনিট দেরি করে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানো আপনাকে কাজের চাপে যেমন বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে ঠিক একইভাবে সময়মতো কাজের জায়গায় যেতে পারলে আপনার সারা দিনের কাজের চাপ অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। তাই সকালবেলা কর্মক্ষেত্রে সময়মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
কাজ হোক সাধ্যের মধ্যে
কর্মক্ষেত্রে এমন অনেক কাজ থাকে যেগুলো আমাদের দ্বারা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না, সে ক্ষেত্রে এমন কোনো কাজের দায়ভার নিতে যাবেন না, যা আপনার দ্বারা করা সম্ভব নয়। কেননা এতে কেবল আপনার কাজের চাপই বাড়বে, কাজের কাজ কিছুই হবে না।
শরীরের নাম মহাশয়
কাজের চাপ কমিয়ে আনতে আপনার নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়া ভীষণ দরকারি। প্রতিদিন ঠিকমতো ঘুমানো, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা আর আর নিজের আত্মবিশ্বাস একটু একটু করে বাড়িয়ে তোলা- এ কাজগুলো আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট রেখে আপনার কর্মক্ষেত্রের কাজের চাপ মানিয়ে নিতে অনেকটাই ভূমিকা রাখে।
Leave a reply