সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলে উত্তাল ভারত। সারা দেশজুড়ে চলছে এ আইন পাসের কঠোর প্রতিবাদ চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে এই আইনের প্রতিবাদ করেছেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
যে কারণে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে চলছে ১৪৪ ধারা। অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের গুলি বিক্ষোভকারীদের নিহত হওয়ার খবরও দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
সিএএ নিয়ে ভারতজুড়ে যখন উত্তেজনা বিরাজ করছে তখনও এ নিয়ে মুখ খুলছেন না ৩ খানসহ প্রথম সারির বলি সেলিব্রেটিরা।
সালমান, আমির, শাহরুখ আর অমিতাভের মতো তারকারা যখন এ নিয়ে একেবারে চুপ রয়েছেন তখন এ নিয়ে মুখ খুললেন অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অজয় দেবগন।
বলি সেলিব্রেটিরা সিএএ বা এনআরসি বিষয়ে চুপ কেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে বলিউডের তারকাদের কথা বলতে দেয়া হয় না বলে সহজ ভাষায় স্বীকার করেছেন, অজয় দেবগন।
নিজের সিনেমা ‘তানাজি’র প্রচারে এসে অজয় দেবগন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এমন অনেক সংবেদনশীল ইস্যু রয়েছে যা নিয়ে বলিউড তারকাদের কথা বলতে দেয়া হয় না। তারকাদের কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ও ভক্তদের হৃদয়ে নাড়া দেয়। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমার চাইতে বাড়েই বেশি। এজন্য এসব ইস্যুতে বলি তারকাদের মন্তব্য করতে দেয়া হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আসলে সিএএ এবং এনআরসি বিষয়ে আমার তেমন ধারণা নেই। তবে আমি এটা বলতে পারি, হিংসার পথ এড়িয়ে নিজের কথা বলতে এবং এই ইস্যুকে আরো সাবধানতার সঙ্গে মোকাবেলা করা প্রয়োজন। আর তা দেশ ও জনগণের স্বার্থেই।’
এনআরসি বিষয়ে জনগণের প্রতিবাদ বিষয়ে ওই সাক্ষাৎকারে অজয় জানান, ‘আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। তাই আমি বিশ্বাস করি যে কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে। ভারত সবার মতামত প্রকাশের অধিকার দেয়।’
তবে এক্ষেত্রে অভিনেতারা আর সাধারণের মতো নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। কোনোরকম বিপদ বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে অনেক সময় আমাদের চুপ থাকতেই হয়।
প্রসঙ্গত আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে অজয় দেবগনের ‘তানাজি’ ছবি। অজয় ছাড়াও এ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন কাজল এবং সাইফ আলি খান।
Leave a reply