শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে উৎসব ও আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে পেয়ে শিশুরাও যেন মেতে উঠেছিল উল্লাসে। কোনো ধরনের আড়ষ্টতা ছাড়াই তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে গল্প করেছে, গণভবনের মাঠে খেলাধুলা করেছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-পিইসি ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট-জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এরপর, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনের বাগানে শিশুদের সাথে খেলাধুলা, গল্প ও স্মৃতিচারণা করেন শেখ হাসিনা। তাদের নিয়ে হাসিমুখে ছবি তোলেন। প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে শিশুরাও স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের নিজেদের কথা তুলে ধরে। কার কী স্বপ্ন, কার কী পছন্দ-অপছন্দ সবকিছুর ডালাপালা মেলে ধরে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে, ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ২৬ হাজার জাতীয়করণ করেছে। শিক্ষকদের বেতন ও সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছি। বিনামুল্যে বই দিচ্ছি, স্কুল ফিডিং চালু করেছি।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদের খেলাধুলায় প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুনামেন্ট চালু করেছি। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছি। প্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহ বাড়িয়েছি। এখনকার শিশুরা আমাদের চেয়ে মেধাবী কারণ তারা প্রযুক্তি শিক্ষা পাচ্ছে। শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়াতে সাংস্কৃতিক চচায় উৎসাহ দিচ্ছি। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও আধুনিক পদ্ধতিতে এগিয়ে নিতে চাই।
Leave a reply