মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানি। আর এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরান। ঘটনার প্রভাবে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। সোলাইমানি’র মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে পার্সিয়ান ভাষায় লেখা ‘হ্যাশট্যাগ হার্শ ভেঞ্জেন্স’ বা নির্মম প্রতিশোধ।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, নেপথ্যে থাকা ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ’ নেয়া হবে।
রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পোরেশনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামেজান শরীফ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কুদস ফোর্সের কমান্ডারকে হত্যার ‘কঠোর প্রতিক্রিয়া’ ভোগ করবে। বাহিনীটির সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়েই বলেছেন, ‘ইরান অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেবে। আর পররাষ্টমন্ত্রী জাভেদ যারিফ বলেছেন, এটি ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপ।’
ইরানে আয়াতুল্লাহ আল খামিনির পর সোলাইমানিকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি বিবেচনা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ছিলেন সিআইএ ও মোসাদের হিটলিস্টের তালিকায় এক নম্বরে। বহুবার চেষ্টার পর আমেরিকা তাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো এতে সহায়তা করেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের পর পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ অবস্থা বিরাজ করছে। ইরাক থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর ইরানের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন রাশিয়া ও চীন। রাশিয়া সোলেইমানিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মার্কিন অভিযানকে অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। চীন ঘটনার সাথে জড়িত পক্ষগুলোকে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সংযত থাকার আহ্বান জানায়।
এদিকে সমালোচনা হয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও। ডেমোক্র্যাটিক দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলার সমালোচনা করে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি বলেন, খড়কুটোর বাক্সে ডায়নামাইট ছুঁড়ে ফেলেছেন। মধ্যপ্রাচ্য বড় ধরনের একটি সংঘাতের মুখোমুখি পড়তে পারি আমরা।
Leave a reply