জরুরি সফরে ওয়াশিংটনে সৌদির বিশেষ দূত, পম্পেও-এসপারের সাথে বৈঠক

|

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারের সঙ্গে বৈঠক করে ইরান ও দুই দেশের পারস্পরিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি আরবের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান।

মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।

মার্কিন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইরানে প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে তেহরানের চিরবৈরী ও মার্কিন মিত্র সৌদি আরব।

আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতার ওপরও জোর দিয়েছেন প্রিন্স খালিদ।

এছাড়া সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের উপায় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সৌদি দৈনিক আরব নিউজের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা পরবর্তী পরিস্থিতির উত্তেজনাকে খুবই বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করে সবপক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।

সোমবার তার এই আহ্বান এমন এক সময় এসেছে, যখন তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা ড্রোন হামলার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সৌদি আরব।

শুক্রবার সকালে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল-কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর কঠিন প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে ইরান।

রিয়াদে সাংবাদিকদের ফয়সাল বলেন, এটা নিশ্চিতভাবে একটি বিপজ্জনক মুহূর্ত। আরও উত্তেজনা ও উসকানি যাতে ঘটে, তা থেকে বিরত থাকতে সবপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আমি আশা করি।

আরব ও আফ্রিকান উপকূলীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রিন্স ফয়সাল এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করে। বৈঠকে মিসর, ইয়েমেন, জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।

তেহরানের প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

উত্তেজনা কমিয়ে আনতে আহ্বান জানাতে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানকে যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডন সফরের নির্দেশনা দিয়েছেন সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান।

সফরে হোয়াইট হাউস ও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে খালিদের।

রিয়াদে মার্কিন দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হুশিয়ারি করে জানিয়েছে, সামরিক ঘাঁটি ও জ্বালানি স্থাপনাগুলো ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা ড্রোন হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছর ধরে লড়াইরত ইয়েমেনে ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীরাও সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply