৩০ জানুয়ারিই ভোট হবে; নির্ধারিত দিনে আদালতের নির্দেশ মেনেই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আদালত ভেবেচিন্তেই দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে রায় দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত দিনেই ভোটগ্রহণ করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে আমি প্রশ্ন নিতে চাই না বা আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুনর্বিবেচনার বিষয়ে আমরা হয়তো কথা বলতে পারতাম। বিষয়টি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, আর আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন; ফলে তা নির্বাচন কমিশনকে মেনে চলতে হবে।
সিটি নির্বাচন পেছানো দাবিতে শাহবাগে ছাত্রদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাইকোর্ট তো নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের বাইরে কিছু ভাববেন না। নির্বাচন পেছানোর আবেদন হাইকোর্টে খারিজ করে দেয়ার বিষয়টি তারা অবশ্যই ভেবেচিন্তেই করেছেন। যেহেতু বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই কোর্টের আদেশ মেনে চলা উচিত। আমি আন্দোলনকারীদের বলবো হাইকোর্টের আদেশ মেনে নিয়ে আন্দোলন করা থেকে বিরত থাকবেন।
এ আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রলীগ সম্পৃক্ত এমন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা জড়িত রয়েছেন দলগতভাবে নয় বরং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে। ছাত্রলীগের মধ্যে অনেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের রয়েছে, তারা হয়তো বিষয়টি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সরস্বতী পূজার দিনে ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ফলে পূর্বনির্ধারিত ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই। গত ২২শে ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০ শে জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার কয়েকদিন পর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভোটের তারিখ ৩০শে জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে ইসি। ২৯শে জানুয়ারি ঐচ্ছিক ছুটি। ৩১শে জানুয়ারি শুক্রবার। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু। সবদিক বিবেচনা করেই ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
Leave a reply