শীতের শেষে রাজধানীতে আবারও বেড়েছে মশার উপদ্রব। তাই আবারও ভোগান্তিতে নগরবাসি। বিশেষ করে রাতের ঢাকাতে জীবিকাসহ নানা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকা মানুষজনের দুর্ভোগ চরমে। আর খোলা আকাশের নিচে থাকা ছিন্নমূল অসহায়ের মানুষের কষ্টের শেষ নেই। সেইসাথে গেলবারের ডেঙ্গু আতঙ্কতো আছেই। এখনই মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ ছিটানোর জন্য মেয়রদের কাছে অনুরোধ ভুক্তোভোগীদের।
প্রকৃতিতে কমেছে শীতের তীব্রতা। বাড়ছে তাপমাত্রা। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে মৌসুমের শুরুতেই রাজধানীতে বেড়ে গেছে মশার উৎপাত। রাতের ঢাকাতে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসি।
দেখা যায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশমুখেই মশার প্রজনন ক্ষেত্র যেন বানিয়ে রেখেছে এখানকার কর্তৃপক্ষ। তাই নিরাপত্তা বাহিনীকে রাতভর মশার অত্যাচার সহ্য করেই ডিউটি করে যেতে হচ্ছে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে এখানে আসা মানুষজন কয়েল জ্বালিয়ে অপেক্ষায় থাকেন। বহু বছর ধরে বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব। অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে আক্ষেপ তাদের। ডেঙ্গু আতংকে ভুগছেন অনেকে।
মশা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর হাসপাতালে রোগির সাথে থাকা স্বজনরাও চরম বিপাকে। বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ড্রেনেজ লাইন পরিষ্কার না থাকায় মশা বেড়েছে এখানে।
মহাখালীর কড়াইল বস্তিটি ঘেষে গুলশানের লেক থাকায় বস্তিবাসি ভালো নেই। দূষণে জর্জরিত এ লেকটি মশার প্রজনন কেন্দ্র। তাই রাত হলে বস্তিতে থাকা বাসিন্দারা মশার কাছে অসহায় হয়ে পড়েন।
মশা নিধনে ওধুন ছিটানো হলেও, সে ওষুধ খুব একটা কাজে আসছে বলে অভিযোগ বস্তিবাসির। সিটি করপোরেশনকে আরো উদ্যোগি হতে বললেন তারা।
আর যাদের থাকার জায়গা নেই, খোলা আকাশের নিচেই যাদের ভোর হয়, তারা মশার অত্যাচারকে মেনে নিয়ে কষ্ট করে রাতটা পার করে দিচ্ছেন।
Leave a reply