আসাম থেকে বাঙালিদেরকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে- পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে আসামের সরকার ও বিরোধীপক্ষ সবাই। এর মধ্যেই আসামের দিসপুর থানায় মমতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজারসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
আসামের ‘কৃষক শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ’-এর তরফে অভিযোগ করার পর পুলিশ সেটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে। মামলার এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা করেছেন মমতা। সেই সঙ্গে রাজ্যে ‘জাতিবিদ্বেষ’ উস্কে দেয়া অভিযোগও আনা হয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী আসামে কথিত নাগরিক তালিকা প্রণয়নকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের জনসভায় ঘোষণা করেন, ‘বাঙালিদের গায়ে হাত পড়লে আমি ছেড়ে কথা বলব না।’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না।’
মমতা বলেন, ১৯৬০ সালের আদলে আসাম থেকে বর্ণবাদী ‘বাঙালি খেদাও’ আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। এ থেকে সরে আসতে ক্ষমতাসীন দলকে সরে আসার আহ্বান জানান মূখ্যমন্ত্রী।
গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে আসামে এনআরসির প্রথম খসড়াটি প্রকাশ করে ভারত সরকার। প্রায় সোয়া তিন কোটি আবেদনের মধ্যে ১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষের তথ্যপ্রমাণ যাচাই করার পর এই খসড়া তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা-আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে বিজেপি নেতারা ক্ষেপেছেন মমতার ওপর। আসাম বিজেপির মুখপাত্র রূপম গোস্বামী দাবি করেন, ‘মমতা নিজে ভোট ব্যাংক মজবুত করতে বাংলাদেশিদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দিয়েছেন। এখন অাসাম ‘বিদেশিমুক্ত’ রাজ্য তৈরির জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যদি পশ্চিমবঙ্গেও নেয়া হয়, তাহলে দিদির ভোটব্যাংক শেষ হয়ে যাবে। সেই ভয়েই হয়ত এমন সব উক্তি করছেন তিনি।’
Leave a reply