আজ মহান স্বাধীনতা দিবস

|

আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ঐতিহাসিক একটি দিন। জাতিসত্তার আত্মপ্রকাশের এক মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে স্বাধিকারের দাবিতে জেগে ওঠা নিরীহ বাঙালির ওপর ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এরপর গ্রেফতার করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তবে, গ্রেফতারের আগমুহূর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু।

এ বছর জাতীয় দিবসটি উদযাপনে ছিল বিশেষ প্রস্তুতি। একে জাতীয় দিবস। তারওপর দিবসটির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। দুই-ই মিলে বিশেষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল দেশের মানুষ। কিন্তু সংক্রামক করোনাভাইরাসের থমকে দিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের ৪৯-তম বার্ষিকীর উদযাপন। এই কারণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোসহ সব জাতীয় কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও স্বাধীনতা দিবসের সব কর্মসূচি বাতিল করেছে। তবে বাঙালি জাতি ঠিকই বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করবে দেশমাতৃকার জন্য আত্মদান করা বীর সন্তানদের। বঙ্গবন্ধু আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, ২ লাখ নারীর সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বিজয়। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব নাগরিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply