চিকিৎসা’সহ বিভিন্ন কাজে গিয়ে ভারতে আটকা পড়েছেন প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি। অনেকের টাকা পয়সাও শেষ। করোনার কারণে দেশটি লকডাউনে থাকায় সবাইকে এক জায়গায় জড়োও করতে পারছে না বাংলাদেশ হাইকমিশন। তারপরও তালিকা করে তাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ফিরতে হবে নিজ খরচে আর ফেরার পর বাধ্যতামূলক কোয়ারন্টোইন। ফেরত দেয়ার শর্তে, ভুক্তভোগীদের আপদকালীন কিছু অর্থও দেবে সরকার।
চেন্নাইয়ের ইশ্বরিয়া ফার্টিলিটি সেন্টার। সন্তানের আশায় এখানে আসেন অনেক বাংলাদেশি। এই চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তেমনই একজন তাসমিয়া। টানা চারমাসের চিকিৎসা শেষ হয়েছে তার। কিন্তু ফেরার উপায় নেই। একই অবস্থা রনি তালুকদারেরও। পনের দিন ধরে চিকিৎসা শেষে এখানে আটকা তারা, পকেটের টাকাও শেষ।
কেবল হাসপাতাল নয়, হোটেলে অবস্থান করেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে। তারা পড়েছেন আরো বিপদে।
কেবল চেন্নাইয়ের ইশ্বরিয়া ফার্টিলিটি সেন্টার হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন দেড় শতাধিক বাংলাদেশি। তাদের অনেকেরই চিকিৎসা শেষ। করোনার কারণে তারা কবে ফিরবেন, সেটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হাসপাতালও।
সরকারি হিসেবে, ভারতে গিয়ে ফিরতে পারেননি দু’ হাজার বাংলাদেশি। চেন্নাই, কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান তাদের। কলকাতায় থাকাদের বাসে করে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করতে পারছেনা বাংলাদেশ মিশন। তারপরও নিজ খরচে ফিরতে চাইলে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতি বছরে ১২ লাখের মত বাংলাদেশি কেবল চিকিৎসার জন্যই ভারত যান।
Leave a reply