করোনা সংকটে ভেন্টিলেটর কেন এত জরুরি?

|

Medical personnel at work in the intensive care unit of the hospital of Brescia, Italy, Thursday, March 19, 2020. Italy has become the country with the most coronavirus-related deaths, surpassing China by registering 3,405 dead. Italy reached the gruesome milestone on the same day the epicenter of the pandemic, Wuhan, China, recorded no new infections. For most people, the new coronavirus causes only mild or moderate symptoms. For some it can cause more severe illness. (Claudio Furlan/LaPresse via AP)

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নির্ভরযোগ্য ভেন্টিলেটর তৈরি করে চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেয়া একটা চ্যলেঞ্জ। প্রশ্ন রয়েছে- ওষুধ নয়, এই ভাইরাস মোকাবেলায় ভেন্টিলেটর কেন এত জরুরি?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই করোনা রোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশ সেরে উঠছেন। কিন্তু আক্রান্তদের প্রতি ৬ জনের মধ্যে গড়ে এক জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই সব ক্ষেত্রে ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ফুসফুসের।

শরীরের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা সেটা বুঝতে পারে ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জন্য বেশি সংখ্যায় রক্তকোষ সেখানে পাঠাতে থাকে। রক্তবাহিকাগুলি এসময় ফুলে ওঠে। এতে অন্য একটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফুসফুসে তরল ঢুকে যাওয়া। এমন ক্ষেত্রে শ্বাস নেওয়া আরও কঠিন হয়ে ওঠে। শরীরের অক্সিজেনের জোগান তাতে কমে যায়। ফলে তখন ভেন্টিলেটর দরকার পড়ে।

শ্বাসকষ্ট অল্প হলে সাধারণ (নন-ইনভেসিভ) ভেন্টিলেশনেই কাজ হয়। এ ক্ষেত্রে নাকে-মুখে একটি মাস্ক লাগিয়ে অক্সিজেন-যুক্ত হাওয়া বাড়তি চাপে পাঠানো হয়। কিন্তু (মেকানিক্যাল) ভেন্টিলেটরে দিলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে এই যন্ত্রটির হাতে। আর এ জন্যই চিকিৎসক ও সেবাকর্মীদের নিরন্তর ও তীক্ষ্ণ নজরদারি একান্ত জরুরি।

কিন্তু হাসপাতালগুলির ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলি যখন রোগীতে উপচে পড়তে থাকে, তখন সেই কাজটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ভেন্টিলেটরের গুণমান সম্পর্কে একশো ভাগ নিশ্চিত হওয়াটাও জরুরি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply