বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সব খেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে যেসব ইউরোপীয় ক্লাব, তার মধ্যে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার অন্যতম।
৭২০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৫ লাখ ৬৮৩ মিলিয়ন টাকা) ঋণের চাপে পড়েছে ক্লাবটি।
যে কারণে এখন নিজেদের সেরা খেলোয়াড় হ্যারি কেনকে বিক্রি করে দিতে চাইছে লন্ডনের ক্লাবটি। ইতিমধ্যে হ্যারি কেনের দামও হাঁকছেন তারা। ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা) বিনিময়ে হ্যারি কেনকে ছাড়তে রাজি স্পার্সরা।
টটেনহ্যাম চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি বলছেন, ‘দুই হাজার কোটি টাকা দাও, হ্যারি কেনকে নিয়ে যাও।’ তবে প্রশ্ন উঠেছে– ইংলিশ তারকা হ্যারি কেনের মূল্য কি এতই বেশি? আর হ্যারিও কি যেতে চাইবেন অন্য কোনো ক্লাবে?
কিছু ফুটবলবোদ্ধার মতে, হতেও পারে। বিগত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বুট জয়ী এই ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ককে এমন চড়া দামে নিতেও পারে কোনো ক্লাব। তা ছাড়া ২০১৭ সালের বিশ্বকাপের ভেলকি এখনও দেখিয়ে যাচ্ছেন হ্যারি। করোনায় স্থগিত হয়ে যাওয়া মৌসুমে ২৫ ম্যাচে ১৭ গোল করেছেন তিনি। বিষয়টি এখন ইংল্যান্ডসহ বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমগুলোর শিরোনামে। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যেও বেশ চর্চিত হচ্ছে। এত চড়া দাম কে কিনে নেবেন হ্যারি কেনকে!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ও দ্য সান জানিয়েছে– ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড দিলেই হ্যারি কেনকে খুশি মনে বেচে দেবেন টটেনহ্যাম চেয়ারম্যান। ক্লাবকে বাঁচাতে এ ছাড়া কোনো উপায় নেই তার। খেলোয়াড়দের ৮৩ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি পরিশোধ করা হয়নি। সম্প্রতি ৬৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম বানিয়েছে টটেনহ্যাম। সে টাকারও সবটা পরিশোধ করা হয়নি। এরই মধ্যে করোনা আরও বিপদে ফেল দিল।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে পেতে ১৯৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল পিএসজি। তাই হ্যারি কেনকে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে কোনো ক্লাব কিনে নিলে সে রেকর্ডকে ভেঙে এটি হয়ে যাবে ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে ট্রান্সফার ফির সর্বোচ্চ রেকর্ড।
Leave a reply