জনবলের অভাব আর অবকাঠামো স্বল্পতায় বাড়ছে না করোনাভাইরাস টেস্টের পরিধি। প্রতিদিন হাজার খানেক নমুনা পরীক্ষা হলেও নির্ধারিত ১৭ টি ল্যাব এখনো শতভাগ কাজে লাগাতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ মাসের মধ্যেই করোনা পরীক্ষায় যুক্ত হওয়ার কথা আরও ১১ টি ল্যাবরেটরি।
করোনা ভাইরাস কমিউনিটিতে কতটা ছড়িয়েছে, সংক্রমনের শিকড় কতটা গভীরে- তা খুঁজতে প্রয়োজন অন্তত একলাখ টেস্ট। কিন্তু গেল প্রায় দেড়মাসে টেস্ট হয়েছে মাত্র নয় হাজারেরও কম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা কন্ট্রোল রুমের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ঢাকার বাহিরে অনেকগুলো ল্যাব খুলেছি। আর ঢাকার মধ্যেই আমরা অনেকগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করছি।
এখন পর্যন্ত প্রতি দশ লাখে গড়ে টেস্ট করানো হয়েছে ৪৫ জনের। শুরুতে আইইডিসিআর’র এ শুধুমাত্র কোভিড ১৯ র টেস্ট করালেও এখণ পর্যন্ত ঢাকাতেই কাজ করছে ৯ টি কেন্দ্র। ঢাকার বাইরে আরো সাতটি। টেস্ট বাড়ানো প্রয়োজন সেটা অনুভব করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরও।
এদিকে, শুক্রবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিভার ক্লিনিকে কোন টেস্টই করনো হয়নি। আইসিডিডিআরবি, রাজশাহী ও বরিশাল মেডিকেল নমুনা সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা করায়নি।
বিএসএমএমইউর ভাইরোলজি বিভাগরে প্রধান ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, সবাইতো আসলে টেস্ক করার জন্য পারদর্শী না। আর পিপিই পরিধান করাও একটু কঠিন।
আর এই নমুনা যিনি সংগ্রহ করেন তার ঝুঁকি সবচে বেশি। যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকলে ভাইরাস ছড়াতে পারে সেখান থেকেও। এমন লোকের সঙ্কট যেমন আছে তেমনি যে কাঠি দিয়ে নাক/মুখ থেকে লালা নেয়া হয় সেই সোয়াব কাঠিরও সঙ্কট আছে। তবে আইইডিসিআর আশা করছে এই মাসের শেষে বদলাবে ছবিটা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা কন্ট্রোল রুমের সহকারি পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, সবারতো চেস্ট করানোর দরকার নেই। আপাতত যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদের টেস্ট করানো হচ্ছে।
দেশে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার পরীক্ষা কিট হাতে আছে। আসছে আরো। তাই আপাতত কিটের সঙ্কট নেই। স্টেজ ৩ এ গোষ্ঠী সংক্রমন খুঁজতে অ্যান্টিবডি টেস্টও করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার মত অনেক দেশই।
Leave a reply