বগুড়া ব্যুরো:
যমুনা টেলিভিশনসহ গণমাধ্যম নিয়ে বগুড়ার একজন জুনিয়র চিকিৎসক ভুল বুঝে ফেসবুকে অপ্রীতিকর স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা। পরবর্তীতে ভুল বুঝতে পেরে ওই চিকিৎসক স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেও জানান তারা।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক স্বল্পতায় রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না-এমন বিষয় নিয়ে রোববার বগুড়ায় যমুনা টেলিভিশনসহ কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ সংগ্রহ করেছিলো। এসময় নিজের মোবাইলফোনে গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তুলে ওই চিকিৎসক ‘গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ তৈরি করছে’-এমন একটি স্ট্যাটাস দেন ফেসবুকে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ’র বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার রেজাউল আলম জুয়েল যমুনা নিউজকে জানান, রোববার গণমাধ্যমকর্মীরা ক্লিনিক নিয়ে যে কাজটি করছিলেন তাতে তাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো না। কিন্তু একটি ক্লিনিকের ওই জুনিয়র চিকিৎসক ভুল বুঝে ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি তাকে বোঝানোর পর তিনি সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্যাটাসটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
বিষয়টি স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি থেকেই ঘটেছে, এখানে গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো দায় নেই।
বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ জানান, এই সংকটময় সময়ে সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন কী না- তা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করছিলেন। কিন্তু ওই নবীন চিকিৎসক ক্লিনিকের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সংবাদ হচ্ছে এরকম ধারণা পোষণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিএমএ এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃবৃন্দ তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়ার পর তিনি স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করে নেন। চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply