হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও আল-জামিআতুল দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন হেফাজত আমিরের ছেলে ও সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী।
তিনি বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। তবে ওনার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসা করার প্রয়োজন। তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে তাকে একটি বেসরকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তাকে আজগর আলী হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা সমস্যায় নিয়ে আল্লামা আহমদ শফী চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আল্লামা আহমদ শফিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে মাওলানা আনাস মাদানীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছিল হেফাজত আমির আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থতা বোধ করছেন।চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, তার স্যালাইন চলছে, রাইসটিউব দিয়ে খাবার দেয়া হচ্ছিল। তিনি এখন স্বাভাবিক আছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।তাছাড়া আল্লামা আহমদ শফীর শারীরিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে তিনি দোয়াও চেয়েছিলেন।
এদিকে সোমবার দুপুরের পর থেকে একটি কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লামা আহমদ শফির মৃত্যুর গুজব ছড়ায়। পরে হেফাজত আমীরে ছেলে এক বিবৃতি ও ফেসবুক লাইভে এসে মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক নয় বলে দেশবাসীকে নিশ্চিত করেন। তিনি গুজবে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান।
১০৩ বছর বয়সী আল্লামা আহমদ শফী চলতি বছরে আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টে এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বার্ধক্যের কারণে এসব রোগ দিনদিন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। ফলে তাকে ঘন ঘন হাসপাতালে ভর্তিও হতে হচ্ছে। চলতি বছরে এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
Leave a reply