নাম তার মেরি আগিইওয়া আগিয়াপং। বয়স ২৮। পেশায় একজন নার্স। গেল পাঁচ বছর ধরে কাজ করেছেন যুক্তরাজ্যের বেডফোরশায়ারের লুটন অ্যান্ড ডানস্টাবল হাসপাতালে। বর্তমানে ছিলেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।
গেল ৫ এপ্রিল তিনি করোনা আক্রান্ত হন। ৭ এপ্রিল ভর্তি হন নিজের কর্মস্থল ডানস্টাবল হাসপাতালে। সবাই ভেবেছিল তার শারীরিক অবস্থান উন্নতি হবে। এক সময় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা সেটা হতে দেয়নি। হয়নি আশানুরূপ উন্নতি। একটা সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। যখন তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উপনীত হন, তখন ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন জরুরিভিত্তিতে সিজার করার।
সিজার করা হয়। তিনি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান বেঁচে গেলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান মা। শিশুটি এখন সুস্থ আছে। তবে তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা সেটা এখনো জানা যায়নি।
বেডফোরশায়ার হাসপাতালের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা (এনএইচএস) ফাউন্ডেশনের প্রধান ডেভিড কার্টার শিশুটির জন্মকে ‘অন্ধকার সময়ে আলোর বাতিঘর’ হিসেবে বিশেষায়িত করেছেন।
জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার একজন সদস্যের এমন করুণ মৃত্যুতে তিনি যারপরনাই ব্যথিত। স্মৃতিচারণ করে ডেভিড বলেছেন, এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি আসলে কিভাবে বলব যে আমাদের নার্স মেরি আগিইওয়া আগিয়াপং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মেরি এখানে গেল পাঁচ বছর কাজ করেছে। আমাদের দলের সবচেয়ে যোগ্য ও ভালোবাসার সদস্য ছিল সে। এখানকার সবাই তাকে ভালোবাসত। খুবই ভালো মানের নার্স ছিল। সেবাদানের ক্ষেত্রে সে অনেক অবদান রেখেছে। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিমা প্রকাশ করছি।
যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। বিশ্বব্যাপী মারা গেছে কয়েক হাজার। সে কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে বার বার জোর দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্র : মিরর, ডেইলি মেইল ও মেট্রো
Leave a reply