লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার পরপরই, সেলুনে গিয়ে চুল কাটার হিড়িক পড়েছে ইউরোপের দেশ ডেনমার্কে। নরসুন্দরের সিরিয়ালের অন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে লম্বা সময়, অনেক জায়গায় রীতিমতো বুকিং দিতে হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় কর্মহীন থাকলেও এখন গ্রাহকের চাপে দম ফেলার ফুরসত নেই সেলুন-কর্মীদের। সংক্রমণ এড়াতে বেশ সতর্কও তারা।
এক মাসের বেশি সময় পর খুলেছে সেলুন। এলোমেলোভাবে বেড়ে যাওয়া অবাধ্য চুলগুলো এবার নরসুন্দরের হাতে তুলে দিতে পেরে, দারুণ স্বস্তিতে গ্রাহকরা।
একজন গ্রাহক জানান, গত কয়েক সপ্তাহে অফিসের কাজে বেশ কয়েকবার ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিতে হয়েছে। অনেককেই দেখেছি ঘরে চুল কেটে চেহারা ভদ্রস্থ রাখার চেষ্টা করেছেন। এলোমেলো কাটায় অবশ্য অনেককে আরও বেশি অদ্ভুত লেগেছে। আমি সে পথে হাঁটিনি।
লম্বা লকডাউন শেষে এ সপ্তাহেই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে ডেনমার্কে। বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পেয়ে আটকে থাকা কাজ সেরে নিচ্ছেন ডেনিশরা। যাতে রীতিমতো অগ্রাধিকার পাচ্ছে চুল কাটা। চেনা গ্রাহকরা ফিরে আসায় অনেকটা উৎসবের আমেজ সেলুনে।
বেশিরভাগ সেলুনেই আগে বুকিং দিতে হচ্ছে সেবা পেতে। সিরিয়াল পেতে অপেক্ষা করতে হবে, দুই থেকে তিন সপ্তাহ। একমাস পর আয়ের পথ খুলে যাওয়ায় স্বস্তিতে সেলুন মালিক ও কর্মীরাও।
সেলুন মালিকরা জানিয়েছেন, ‘গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। হেয়ারড্রেসিংয়ের জন্যই বিশেষ ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হচ্ছে। কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাই না।’
প্রকোপ কমলেও ভয় কাটেনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাই অবলম্বন করতে হচ্ছে বিশেষ সর্তকতা। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে করা হয়েছে বসার ব্যবস্থা।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম লকডাউন ঘোষণা হয় ডেনমার্কেই। কড়াকড়ি শিথিলেও প্রথম তারা। মজার ব্যাপার হলো, ডেন্টিস্ট বা চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতোই কাজ শুরুর অনুমতি পেয়েছে ট্যাটু পার্লার, বিউটি পার্লারের মতো সেবাগুলো।
Leave a reply