উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম যে খবর দিয়েছে, তা সঠিক নয় বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কিনা; তা নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এ ক্ষেত্রে আমি কেবল তার সুস্বাস্থ্য কামনা করতে পারি। কিমের সঙ্গে ‘ভালো সম্পর্কের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি। এসময় কিমের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে তার কাছে সরাসরি কোনো তথ্য আছে কিনা; তা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে কিমের অস্ত্রোপচারের ঘটনা সত্যি হলে, ডেইলি এনকে ওয়েবসাইটের দাবি অনুসারে, তার দাদা ও দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের জন্মবার্ষিকের অনুষ্ঠানে তার অনুপস্থিত থাকার একটি ব্যাখ্যাও সামনে চলে আসবে।
গত ১২ এপ্রিল দেশটির পূর্ব উপকূলীয় হায়াংসান কাউন্টিতে একটি হাসপাতালে কিমের অস্ত্রোপচার হয়েছে। সিউলভিত্তিক ডেইলি এনকে নামের যে ওয়েবসাইট এমন খবর দিয়েছে, সেটি উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগীরা চালাচ্ছে।
এছাড়া এতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নেই এতে।
আর মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে এ বিষয়ে সরাসরি অবগত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনও বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। অস্ত্রোপচারের পর মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কিম জং-উন। কিন্তু সিএনএনের প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার খবরাখবর রাখা দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা।
ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে কিমকে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এতে তার স্বাস্থ্যহানির বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
ডেইলি এনকের খবর বলছে, ব্যাপক ধূমপান, স্থূলতা ও অতিরিক্ত কাজের দরুন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিমের স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
Leave a reply