বাজার থেকে সাড়ে পাঁচশো পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর মধ্যে ১৭ ব্র্যান্ডের পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বিএসটিআই। ল্যাবে নিম্নমান পাওয়ায় এ সকল পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে এগুলো সরবরাহ, বিক্রি-বিতরণ, বিজ্ঞাপন বন্ধ করে পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়।
শনিবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিএসটিআই জানিয়েছে, রমজান উপলক্ষে সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে সংগৃহীত নিম্নমানের পণ্যের প্রতিষ্ঠান, পণ্য এবং ব্র্যান্ডের নাম হলো- চট্টগ্রামের কল্পনা কমোডিটিস কোম্পানির এপি-১ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের চিটাগাং ফ্লাওয়ার মিলস-এর এ্যাংকর ব্র্যান্ডের সুজি, যশোরের আল আমিন বেকারি এন্ড কনফেকশনারির আল আমিন ব্র্যান্ডের লজেন্স, ঢাকার মি. বেকার এন্ড পেস্ট্রি শপের মি. বেকার ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ফরিদপুরের সেফ ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবা ব্র্যান্ডের চিপস (পটেটো), কক্সবাজারের রিয়াদ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বঙ্গ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, রাজশাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের আর এম ব্র্যান্ডের ঘি, বগুড়ার জিনিয়াস সেফ ফুড এন্ড কনজ্যুমারের জিনিয়াস স্পেশাল ব্র্যান্ডের ঘি, সয়াবিন তেল ও হলুদের গুড়া; বগুড়ার সীমা ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের সীমা ব্র্যান্ডের সুজি, গাজীপুরের জি এম ফুড প্রোডাঃ এর এবি-১ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ও রাজা ব্র্যান্ডের ঘি, গাজীপুরের শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাঃ এর নুরজাহান ব্র্যান্ডের বাটার, শরীয়তপুরের মাদার ডেইরি এন্ড ফুড প্রোডাঃ এর বেস্ট-১ ব্র্যান্ডের ঘি, মৌলভীবাজারের শাহী ফুড প্রোডাঃ এর শমসের নগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি এবং একিটি নাম-ঠিকানা বিহীন ড্রামের লুজ সয়াবিন তেল।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রমজান উপলক্ষে গত দুই মাস ধরে সারাদেশের খোলাবাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ হয়। সামনেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। খাদ্য পণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহপূর্বক বিএসটিআই’র ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। এসময় মোট ৫২১টি নমুনার মধ্যে ২৫৩টি পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে মানসম্মত নমুনা- ২৩৬টি, নিম্নমানের নমুনা- ১৭টি এবং পরীক্ষাধীন রয়েছে ২৬৮টি নমুনা।
Leave a reply