হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে সিএনজি করে বাসায় ফেরত গেলেন এক করোনা আক্রান্ত রোগী। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মুগদা হাসাপাতালের সামনে ঘটে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী রোগীর নাম দেলোয়ার। তিনি নারায়ণগঞ্জের পাগলার বাসিন্দা। সেখানেই একটি দর্জির দোকানে কাজ করেন।
দেলোয়ারের ভগ্নিপতি যমুনা নিউজকে জানান, বেশ কদিন আগ থেকে দেলোয়ারের জ্বর। ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর চলে যায়। এরপর শুরু হয় প্রচণ্ড কাশি। সেটার ওষুধ খাওয়ার পর শুরু হয় কফ ছাড়া কাশি তারপর শ্বাসকষ্ট। স্থানীয় একটি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কিছু না পেয়ে তাকে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দোলোয়ারের স্বজনরা জানান, বুধবার দুপুরে তার করোনায় পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ ধরা পড়লে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে করোনা বিভাগে ভর্তি হতে পাঠানো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে মুগদা হাসাপাতালের সামনে দেলোয়ারের হাতে তার চিকিৎসার কাগজপত্র দিয়ে চলে যান অ্যাম্বুলেন্স চালক।
এরপর অসুস্থ দেলোয়ার করোনার জরুরি বিভাগে গেলে তার সাথে কেউ কথা বলেনি এমনকি তার হাতে থাকা চিকিৎসার কাগজও কেউ দেখেনি বলে অভিযোগ করে স্বজনরা।
সে দেড় ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে বসে থাকার পর জরুরি বিভাগের সামনে বসা একজন তাকে বলেন, এখানে জায়গা নেই। আপনারা কমলাপুর হাসপাতালে যান বা বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেন। নিরুপায় হয়ে দেলোয়ার একটি সিএনজিতে করে বাড়ি ফেরত যান। পুরোটা সময় দূরে দূরে থেকে তাকে সাহায্য করেন স্বজনরা।
দেলোয়ার অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দেড়ঘণ্টা ধরে ডাক্তার-নার্স কারো কোনও সাড়া না পেয়ে বাড়িতে চলে গেছেন তিনি।
Leave a reply