টিকা আসুক কিংবা না আসুক– যুক্তরাষ্ট্র লকডাউন তুলে নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় বছর শেষে করোনার টিকা সরবরাহেরও ঘোষণা দেন তিনি।
যদিও এ রকম সফলতার জন্য ১৮ মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে একজন বিশেষজ্ঞ হুশিয়ারি করে দিয়েছেন।
টিকা উদ্ভাবনের প্রকল্পকে ট্রাম্প নাম দিয়েছেন ‘র্যাপ স্পিড’ অভিযান। আর এই উদ্যোগকে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বের প্রথম পরমাণু অস্ত্র উদ্ভাবনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
তবে ট্রাম্প একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে এমনকি টিকা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে।
এক বছরের মধ্যে করোনার টিকা আসবে কিনা; তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ পোষণ করেছেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের সংবাদ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, ১৪টি সম্ভাবনাময় টিকার ওপর গবেষণা শুরু হয়েছে। টিকা উদ্ভাবনে গবেষণা এগিয়ে নিতে ও অনুমোদনের জন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
অপারেশন র্যাপ স্পিড নিয়ে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই একটি বড় ও দ্রুতগতির প্রকল্প। ম্যানহাটন প্রকল্পের পর যুক্তরাষ্ট্র আর কখনো এমন বড় বৈজ্ঞানিক, শিল্প ও পরিকল্পিত উদ্যোগ দেখেনি।
এই অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন সেনাবাহিনীর এক জেনারেল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক কর্মকর্তা। টিকা উদ্ভাবন ও বিতরণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশিদারিত্বও রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, আমি চাই না, লোকজন মনে করুক এসব কিছু টিকার ওপর নির্ভরশীল। টিকা আসুক কিংবা না-ই আসুক, আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাব। আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে তাদের টিকা নেই। ভাইরাস কিংবা ফ্লু এসেছে, তাদের সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়েছে।
ট্রাম্প যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তান পেছনে মাস্ক পরে দাঁড়িয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি। ট্রাম্প কোনো ফেইস মাস্ক পরেননি।
Leave a reply