সোমবার রাতে তামিম ইকবালের ডিজিটাল আড্ডায় এসেছিলেন সময়ের ক্রিকেট সেনসেশন, ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ ও অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। তামিমের মুখোমুখি হতে ভারতীয় অধিনায়কের যেমনি আগ্রহ ছিল, তেমনি আগ্রহের কমতি ছিল না বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। কোহলি বলে কথা! তাই অন্য সব ডিজিটাল আড্ডার চেয়ে সোমবার রাতে আড্ডাটা তামিম সাজিয়ে ছিলেন একটু অন্যভাবে। সময় ছিল কম, সেই সাথে প্রশ্নগুলোও ছিল নিধারিত। তাই বলে খুনসুটির কোনো কমতি হয়নি।
সেজন্যই কিনা বাংলাদেশের ওয়ানডে আধিনায়কের এমন আয়োজনকে ‘ক্রেজি’ আখ্যা দিয়ে শো শেষে ভিরাট বলেছেন, আজ থেকে ১০ বছর পর আমি বেঁচে থাকলে কেউ যদি আমায় প্রশ্ন করে করোনা কোয়ারেন্টাইনের সময়ে আপনি কী কী করে কাটিয়ে ছিলেন, আমি তখন তামিমের এই ক্রেজি আয়োজনটির কথা বলবো, সেই সাথে বলবো এই সময়টুকু ছিল আমার জীবনে কোনো অনুষ্ঠানে কাটানো সেরা সময়।
করোনা কোয়ারেন্টাইনে খানিকটা বিনোদনের জন্য এমন আয়োজন। সেখানে অবধারিতভাবেই শুরুতেই ছিল দুই দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা। ভিরাট জানালেন, ভারতে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবু্ও এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠাটা দুই দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জ। সবার মনোযোগ সেখানেই। তবু তার আশা, দ্রুতই সবাই একসাথে এই চ্যালেঞ্জ রুখে দেবে, তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরে আসবে ক্রিকেট।
মাঠের খেলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে আড্ডায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৯ সালের প্রথম ম্যাচের সেই ভিরাট কোহলি আর তিন বছর পরের ভিরাট কোহলির মধ্যে এতোটা পার্থক্য ছিল কেন? এমন প্রশ্নে কোহলির জবাব ছিল, এক ম্যাচ খেলে আমি দলের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। তিন বছর দলে ফিরে শ্রীলঙ্কার সাথে সেঞ্চুরিটাই আমাকে বদলে দেয়। আমার মাঝে বিশ্বাস জন্মে আমি অনেকদিন ভারতের হয়ে খেলতে পারবো। আর তার জন্য আমি মনস্থির করাটাকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলাম বলেই হয়তো তিন নম্বরে আমি সফল। সামনে যত ভালো ক্রিকেটারই থাকুক না কেন, নিজের একাগ্রতাই এখানে মূল বলে মনে করেন বিরাট কোহলি। আমার যে কাজটি সহজ মনে করি তা হলো, আমি ক্রিজে যাবো, দলের জন খেলবো আর শেষ পর্যন্ত দলকে জেতানোর চেষ্টা করবো।
নিজের অনুশীলন নিয়েও চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন ভিরাট কোহলি। নিজ দলের রঘু আর বাংলাদেশের মুশফিকের উদাহরণ টেনে বললেন, আমি ওদের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করি না। সেটা হতে পারে ৮ মিনিট থেকে ২০ মিনিট। এ সময়টুকুতে আমি বুঝে যাই কেমন হলো আমার অনুশীলন। ৪/৫ বল ভালো খেললে আমার আত্মবিশ্বাস জাগে। আমি উঠে আসি। আর না হলে খানিকক্ষণ চেষ্টা করি, তবুও না হলে চলে আসি। কারণ পারফেকশন খুঁজতে গিয়ে আমি আমার আত্মবিশ্বাস হারাতে রাজি নই। ভিরাট কোহলি অবশ্য ফিটনেসকেই সাফল্যের মূল বলে মানেন।
Leave a reply