ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে প্রস্তত রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। একইসাথে যোগাযোগ রাখছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সঙ্গেও।
মঙ্গলবার (১৯ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজা-উল করিম শাম্মী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী কার্যক্রমের সমন্বয় করেছে সেনাবাহিনী। নিজস্ব উৎস থেকে ১৮ হাজার ৪০০টি ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করেছে। তাছাড়া ৭১টি ছোট মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রেখেছে। পাশাপাশি ১৪৫টি ছোট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিমও বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রেখেছে।
এছাড়া ভূমি ধস বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিমও প্রস্তুত রয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের রক্ষায়। এতে সংযুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং উপকরণ। উপকরণের মধ্যে ৩১৩টি স্পিডবোট, ১৫টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট, ২৩৯টি আউট বোর্ড মোটর, চারটি জাপানিজ উদ্ধার বোর্ড, ছয়টি ফাইবার গ্লাস বোর্ড এবং ১১৫টি শার্ক বোর্ড।
আম্পান পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ, চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নৌবাহিনী। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত করা হয়েছে।
পাশাপাশি আম্পান পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের জন্য নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং দুটি হেলিকপ্টার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এছাড়াও বিমানবাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলোও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমানবাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলোর মধ্যে রয়েছে ছয়টি পরিবহন প্লেন ও ২২টি হেলিকপ্টার।
Leave a reply