গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’র কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। তবে এর বর্ধিত অংশের প্রভাবে বাংলাদেশে প্রাণহানি, বসতবাড়ি লণ্ডভণ্ড হওয়াসহ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া, উপকূলীয় বেশ কিছু জেলায় পানি উঠে গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক বজলুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলে অবস্থান করছে। সাতক্ষীরা উপকূলে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের সবোর্চ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার। রাতের মধ্যেই প্রচুর বৃষ্টির সাথে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
আম্পানের একটি অংশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকে যশোর ও নড়াইল জেলার দিকে আজ রাতেই অগ্রসর হবে। এরপর মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ থেকে জামালপুরের দিকে এগিয়ে যাবে আজ মধ্যরাতের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার সকালে আর ঝড়ো হাওয়া আর থাকবে না বলে আশা করছে আবহাওয়া অফিস। তবে, রাতে ঝড়ো হাওয়া থাকবে তাই মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ সাতক্ষীরা ও সংলগ্ন উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a reply