সময় গড়ানোর সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়েছে ‘সুপার সাইক্লোন’র খ্যাতি পাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। সমুদ্র থেকে স্থলভাগে প্রবেশের আগেই গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বাংলাদেশে আর প্রবেশ করেনি এর কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী ও পাবনার মাঝামাঝি অবস্থান করা ঘূণিঝড় ‘আম্পান’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুপুরের দিকে গভীর নিম্নচাপ অথবা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রমের পথে ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপ বা নিম্নচাপে পরিণত হবে। আজ দুপুরে এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ অথবা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে এখনও দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায়ও আমরা ঝড়ো হাওয়া দেখতে পাচ্ছি। আম্পানের কারণে সারাদেশে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হয়েছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগের রেকর্ড ছিল সাতক্ষীরায় ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার।
আম্পান নিম্নচাপে পরিণত হলে মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন যে সকল উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি আছে সেটি নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় জারি থাকা ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়েও ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হবে।
আম্পানের প্রভাবে বাংলাদেশে প্রাণহানি, বসতবাড়ি লণ্ডভণ্ড হওয়াসহ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া, উপকূলীয় বেশ কিছু জেলা প্লাবিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা, খুলনা ও পটুয়াখালীতে এর তীব্রতা ছিল বেশি। সময় গড়ানোর সাথে সাথে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর সীমান্ত পার হয়ে ক্লান্ত ‘আম্পান’র বুধবার সকালে রাজশাহী ও পাবনার কাছে অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে এসব অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আশেপাশের জেলাগুলোতেও হচ্ছে বৃষ্টিপাত।
Leave a reply