নামকরণের ১৬ বছর পর আঘাত হানলো আম্পান। বুধবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
এরমধ্যেই আম্পানের আঘাতে গাছ চাপা ও পানিতে ডুবে পটুয়াখালীতে ২, ভোলায় ২, যশোরে ২ সাতক্ষীরায় ১ ও পিরোজপুরে ১ জনেরসহ দেশজুড়ে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ নামকরণ ও এর অর্থই বা কী? আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন ২০০৪ সালে থাইল্যান্ড এই নামকরণ করেছিল। থাই শব্দ ‘আম্পান’ মানে আকাশ।
মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সমস্ত দেশের থেকে নাম নিয়ে প্রতি দেশের ৮টি করে নাম বাছাই করে মোট ৬৪টি ঝড়ের নামকরণ করে এই সংস্থাটি।
২০১৮ সালে এই সংস্থায় যোগ হয় আরও ৭টি দেশ। মোট ১৩টি দেশের থেকে চাওয়া হয় নতুন নাম। দেশপিছু ১৩টি করে নাম নিয়ে তৈরি হয় ১৬৯টি ঝড়ের নামের তালিকা।
এই নামকরণ প্রথার আগে কোনও ঝড়ে কোনও জাহাজ ডুবে গেলে সেই জাহাজের নামে হত ঝড়ের নাম। ২০০০ সালে ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম বানানো হয়।
সেই তালিকা অনুসারে আম্পানের পরবর্তী ঝড়ের নাম হবে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ‘নিস্বর্গ’। তার পরের ঝড়গুলির নাম (ক্রমান্বয়ে) গতি (ভারত প্রস্তাবিত), নিভার (ইরান প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপ প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমার প্রস্তাবিত) এবং ইয়াস (ওমান প্রস্তাবিত)।
Leave a reply