প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোভিড নাইনটিনের বিস্তার ঠেকাতে চেষ্টারও কমতি নেই দেশটির। এবার কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সোরেন্টো থেরাপিউটিকসের। মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেম নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিষেধক। যাতে থাকা অ্যান্টিবডি সুস্থ মানব কোষে ভাইরাসের প্রবেশ আটকে দিতে শতভাগ কার্যকর।
সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স নামক ওই সংস্থার দাবি পেট্রি ডিশ পরীক্ষায় তাদের আবিষ্কৃত অ্যান্টিবডি সুস্থ মানব কোষে করোনাভাইরাসের প্রবেশ আটকে দিতে শতভাগ সফল। এই অ্যান্টিবডি নিয়ে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর সোরেন্টো থেরোপিউটিকস এবার প্রস্তুত পরবর্তী ধাপের জন্য।
সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স প্রধান নির্বাহী হেনরি জেআই বলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে এই ওষুধ শতভাগ কার্যকর। এসটিআই- ওয়ান ফোর নাইন নাইন নামক এই অ্যান্টিবডি যদি কারও শরীরে দেয়া হয়, তখন অ্যান্টিবডিগুলোর একটি ককটেল মানব কোষের জন্য ‘প্রতিরক্ষামূলক জাল’-এর মতো কাজ করতে শুরু করে। তখন তার আর সামাজিক দূরত্বের দরকার নেই।
মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগিতায় সোরেন্টোর এই ড্রাগ ককটেল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে অনুমতির আবেদনও করা হয়েছে। সফল হলে মাসে ২ লাখ ডোজ ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।
হেনরি জেআই বলেন, ল্যাবটেস্টে সফলতা পেয়েছি, এখন আমাদের লক্ষ্য ব্যাপকভাবে এর পরীক্ষা চালানো। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরই আমরা এই ওষুধ বাজারে ছাড়তে পারবো।
এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, রাশিয়ার বায়োক্যাডসহ বিভিন্ন দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে।
Leave a reply