কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনায় উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে নিউইয়র্ক, শিকাগোসহ বেশ কয়েকটি শহরে। তবে, সবচেয়ে সহিংস রাত কেটেছে, মিনেসোটায়। একটি পুলিশ স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, মিনেপোলিস শহরে, ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে তিনদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে মিনেসোটায়। বৃহস্পতিবার রাতে, যা রূপ নেয় সহিংসতায়। রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, প্রধান শহর মিনেপোলিস।
রাস্তায় নামা হাজারো মানুষের ক্ষোভের মূল লক্ষ্য পুলিশ। শহরের একটি পুলিশ স্টেশনেও হামলা চালায় তারা। আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয় সেখানে।
নিরস্ত্র নাগরিক হত্যার ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বিক্ষোভ চলে মিনেসোটার অনেক শহরে। দফায় দফায় পুলিশের সাথে হয় সংঘর্ষ। বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে উঠলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে খুব বাজে আচরণ করা হয়। এটা অনেক বছর ধরেই হয়ে আসছে। এর পরিবর্তন দরকার।
আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা বিরক্ত। অতীতে অনেকবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছি। কিন্তু ফলাফল দেখিনি। এই ঘটনায়ও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখছি না।
এরইমধ্যে, অভিযুক্ত ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে এফবিআই। এসব খবরেও অবশ্য, শান্ত হয়নি বিক্ষোভকারীরা। শহরের অনেকখানেই ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা।
মিনেসোটার অ্যাটর্নি এরিকা ম্যাকডোনাল্ড বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করছি, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। বিচার বিভাগ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিষয়টিতে। তবে, সংঘাত-সহিংসতা কোনো সমাধান নয়। সবাইকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
কেবল মিনেসোটা নয়, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, শিকাগোসহ অনেক শহরেই বিক্ষোভ চলছে, কৃষ্ণাঙ্গ নিপীড়নের বিরুদ্ধে।
সোমবার, একটি চুরির ঘটনায়, আটক করা হয় জর্জ ফ্লয়েডকে। পুলিশ পা দিয়ে গলা চেপে ধরলে মৃত্যু হয় তার। এ সময় ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডের আকুতি ছিলো, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভের স্লোগান হয়ে উঠেছে, সে লাইনটি।
Leave a reply