স্বাস্থ্যকর খাবারের যেমন বিকল্প নেই, ঠিক তেমনি নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করছেন কিন্তু জানেন কি, কখন শরীরচর্চা করলে লাভ বেশি?
বেশিরভাগ মানুষই ঘুম থেকে ওঠার পর সকাল বেলাকে ব্যায়ামের উপযুক্ত বলে মনে করেন। কারও যদি সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস থেকে থাকে তখন কখন ব্যায়াম করবেন? কিংবা যদি মর্নিং ডিউটিতে পৌঁছে যেতে হয় কর্মস্থলে, তা হলে কি ব্যায়াম করতে হবে না?
সকালে ব্যায়ামের ফল হলো- দিনভর তরতাজা থাকা। ৩–৪ সপ্তাহ কোনও মতে চালিয়ে গেলে তার পর সেটা রুটিনের মতোও হয়ে যায়। আর সকালে ঘুম থেকে উঠতে না চাইলে বা না পারলে সে ক্ষেত্রে বেলার দিকে করুন শারীরিক চর্চা।
‘জার্নাল অব ফিজিওলজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে, দুপুর ১টা–৪টার মধ্যে ব্যায়াম করলে ভাল ভাবে ব্যায়াম করা যায়৷ এই সময় শরীর গরম থাকে, পেশি নমনীয় থাকে, হার্ট–রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বলে গবেষণায় প্রকাশ। এই সময় ব্যাযাম করলে ক্যালোরি খরচ বেশি হয়৷ বিশেষত, ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে বেশি টেস্টোস্টেরোন তৈরি হয়— পেশির বৃদ্ধি ও শক্তি বাড়ানোর জন্য যার বিশেষ প্রয়োজন৷ কর্টিসোলের পরিমাণ কম থাকে বলেও ভাল কাজ হয়৷
কিন্তু অনেকেরই দুপুর বা বিকেলেও সময় মেলে না। তা হলে সন্ধ্যা ৭–১০টার মধ্যে? যদি রাতে ঘুম না আসে? বিজ্ঞানীদের মতে, যদি ব্যায়াম করার পর পরই গোসল করে খেয়েদেয়ে শুয়ে না পড়েন, বিপদ তত নেই। তাও সমস্যা হলে রাতের দিকে হালকা ব্যায়াম করুন। একটু হাঁটাহাটি, যোগা।
যে সময় সবচেয়ে তরতাজা থাকেন ও হাতে সময় থাকে, তখন করাই ভাল। সম্ভব হলে বিভিন্ন সময় ব্যায়াম করে দেখুন, কখন করলে বেশি ফ্রেশ লাগে, ঘুম ভাল হয়৷
ব্যায়ামের উদ্দেশ্য মাথায় রাখুন৷ ওজন কমাতে চাইলে সকালে খালি পেটে করা ভাল। পেশী গঠন করতে চাইলে দুপুরে বা বিকেলে। রাতে শরীরচর্চা করলে ব্যায়াম করতে হবে হালকা ধাঁচের।
Leave a reply