৬ দফা দাবি জনগণ লুফে নিয়েছিল। কারণ বাংলার মানুষ এটা নিয়েছিল তাদের বাঁচার অধিকার হিসেবে। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ছয় দফা দিবসের আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে। সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ পড়েন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
৬ দফা কেন দেওয়া হয়েছিল? অনলাইনে যোগ দিয়ে তার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ৬ দফা দাবিটা জনগণ এমনভাবে লুফে নিয়েছিল, আমি জানি না, পৃথিবীর কোনো দেশে এত দ্রুত কোনো দাবি এত বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল কিনা। বাংলার মানুষ একে নিয়েছিল তাদের বাঁচার অধিকার হিসেবে এবং এটা প্রকৃতও তাই ছিল। এদেশের মানুষ এত দ্রুত ৬ দফাকে শুধু সমর্থনই করেনি তারা স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে নিজের দাবি হিসেবে গ্রহণ করেছিলো।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় দেখা গেল আমরা খুবই অরক্ষিত ছিলাম। ভারত-পাকিস্তান যখন তাসখন্দ চুক্তি করলো তখনও এই পূর্ববঙ্গ ছিল অরক্ষিত। তারপরে যখন ৬ দফা দেওয়া হলো তখনই এদেশের গণমানুষ জেগে উঠলো।
ছাত্রলীগের রাজনীতি করা শেখ হাসিনা বলেন, ছয় দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন দমনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার অগণিত নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করেছে, অত্যাচার করেছে। কারাগারের রোজনামচা বইয়ে এর কিছু উল্লেখ আছে।
তিনি বলেন, এই আন্দোলন সংগ্রামের পথ ধরে যখন বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগে যিনিই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাচ্ছেন, তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এভাবে অত্যাচার নির্যাতন চলেছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ আরও বেশি সচেতন হচ্ছেন, আরও বেশি সুসংগঠিত হচ্ছেন, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন— অবশ্যই কিছু দালাল ছাড়া। সবসময় কিছু দালাল থাকে।
এসময় করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথাও জানান প্রধনমন্ত্রী। বলেন, সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে এ মহামারি।
Leave a reply