স্টাফ রিপোর্টার:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিখিল তালুকদার হত্যা মামলায় পুলিশের এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মো. রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় নিহতের ছোট ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) শামীম হাসান ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এমন তথ্য দেন কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ লুৎফর রহমান।
সোমবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান শেখ লুৎফর রহমান।
গত মঙ্গলবার বিকেলে রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে নিখিলসহ চারজন তাস খেলার সময় এএসআই শামীম হাসান একজন ভ্যান চালক ও পুলিশের সোর্স মোঃ রেজাউলকে নিয়ে সেখানে যায় এবং আড়ালে দাঁড়িয়ে মোবাইলে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করে। এসময় তাস খেলার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে বুঝতে পারলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে বাকিরা সফল হলেও নিখিল পুলিশের হাতে আটক হন।
এরপর অভিযোগ উঠে পুলিশের মারধরের কারণে নিখিল আহত হন এবং তাকে আহতাবস্থায় স্বজনেরা প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে চিকিৎসক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আসলাম খানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
Leave a reply