বাবা মারা গেছেন। এরপর মা-ও ছেড়ে গেছেন তাকে। ৭ বছরের শিশু চ্যাংজিয়াংয়ের এখন কী হবে? বাবার এক বন্ধু দয়া করে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন তাকে।
ইয়ান ছুটা কাজ করেন। সব সময় কাজ জুটেও না। কোনো মতে পরিবার চালান। এর মধ্যেই চ্যাংজিয়াংয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে একটি কোম্পানিতে চিঠিপত্র বা অন্যান্য জিনিস ডেলিভারির কাজ করছেন। একদিন অন্য কাজে থাকায় এক বাড়িতে একটি জিনিস পাঠাতে দেরি হয়ে যাচ্ছিল। ভাবলেন, চ্যাংজিয়াংকে দিয়ে কাজটি করানো যায় কিনা। রাস্তাঘাট বুঝিয়ে দিয়ে পাঠলেন ৭ বছরের শিশুটিকে। এবং সে সফলভাবে পণ্যটি দিয়ে আসতে পারলো নির্দিষ্ট ঠিকানায়।
চ্যাংজিয়াং একটা কাজ করতে পেরে খুশি। ইয়ানেও সহযোগীর দরকার পড়ে। ছোট্ট একটা ট্রলি কিনে দিলেন তাকে। এরপর আশপাশের এলাকায় নিয়মিত পার্সেল পৌঁছিয়ে দেয় ছেলেটি।
সম্প্রতি চীনে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ চলছে। কনকনে ঠাণ্ডায়ও সমান তালে চলছে চ্যাংজিয়াংয়ের পার্সেল ডেলিভারির কাজ। কেউ একজন ওর পেছন পেছন ঘুরে তুষারের মধ্যে পণ্য পৌঁছিয়ে দেয়ার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটি চীনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অবশ্য পরে সরকারি কর্তৃপক্ষ ৭ বছরের শিশুটিকে সরকারি এতিমখানায় পাঠিয়েছে। এবং তার জন্য স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্প্রতি চীনা আরেকটি ঘটনায় শীতের কাপড় ছাড়া এক শিশুর স্কুলে যাওয়ার ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এসব ঘটনা দেশটিতে দারিদ্র্য এবং শিশু সুরক্ষার অভাবকে প্রকটভাবে তুলে ধরছে।
Leave a reply