সারাবিশ্বে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই আতঙ্কের মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন রোগ স্ক্রাব টাইফাস।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে কলকাতায় দুই শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে ওই দুই শিশুর চিকিৎসা চলছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে বহরমপুরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল আর নার্সিংহোমে অন্তত ৫০ জনের শরীরে এ রোগের জীবাণু মিলেছিল।
হঠাৎ জ্বর, গায়ে ও হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা এই রোগের প্রধান উপসর্গ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের মতো পরজীবী পোকামাকড়ের কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়।
ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিকের আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।
‘স্ক্রাব টাইফাস’ একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। ‘ওরিয়েনসিয়া শুশুগামুসি’ নামে ব্যাকটেরিয়াই এ রোগের জন্য দায়ী।
ডেঙ্গু আর স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণগুলো অনেকটা একই রকম। তবে প্রাথমিকভাবে এ রোগের উপসর্গ চিনতে সবারই সমস্যা হয়।
কতটা ভয়ের কারণ রয়েছে স্ক্রাব টাইফাসে?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. অরিন্দম পাণ্ডে জানান, স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। করোনার আগেও অনেকেই স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আবার সম্পূর্ণ সেরেও উঠেছেন। তাই এ নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
শিশুদের ক্ষেত্রে কতটা ভয়?
শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক (চাইল্ড স্পেশালিস্ট) ড. অনিন্দ্য কুণ্ডু বলেন, টাইফয়েডের মতো উপসর্গ এবং পোকামাকড়ের কামড় থেকে এই রোগ হয়ে থাকে।
অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো সহজলভ্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগে এই রোগ ভালো হয়।
অনেক সময় ৩ থেকে ৫ দিন ধরে চলা জ্বরের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। আর তাতেই ধরা পড়ার আগেই সেরে যায় স্ক্রাব টাইফাস।
ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, শিশুর জ্বর পাঁচ দিনের বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ
Leave a reply