বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি: চীনের বিশেষজ্ঞ দল

|

চীনের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ছবি: চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেইজ।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখনও চূড়ায় পৌঁছেনি, কবে পৌঁছবে তাও বলা কঠিন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবশ্যই পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লকডাউন করত হবে। এমন মতামত বাংলাদেশে আসা চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলের। তাদের পর্যবেক্ষণ এদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার খুবই অভাব। এটা দেখে চীনা চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞদল ভীষণ হতাশ।

বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের বিশেষজ্ঞরা আজ রোববার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিকাব) সদস্যদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এসব মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে প্রতিনিধিদলটি আগামীকাল সোমবার ঢাকা ছাড়ছে।

দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে অবস্থানের সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলার পরিস্থিতি ১০ সদস্যের চীনা প্রতিনিধিদলকে হতাশ করেছে। কারণ, এমন একটি মহামারি নিয়ে সমাজের নানা স্তরের লোকজনের সচেতনতা খুব কম। নমুনা পরীক্ষাও হচ্ছে কম। তবে সংখ্যায় কম ও নানা সীমাবদ্ধতার পরও চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা অসাধারণ দায়িত্ব পালন করছেন।

তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি আরও ২/৩ বছর চলবে কিনা সেটা বলার মতো বৈজ্ঞানিক তথ্য তাদের জানা নেই। করোনা শনাক্তে রেপিড ডট কিটের পরীক্ষা সমর্থন করেন না চীনা বিশেষজ্ঞরা। দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এই সপ্তাহেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে পরামর্শ আকারে বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশের জন্য চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ব্রিফিংয়ে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন
হুয়ালং ইয়ান বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকর ভ্যাকসিনের গবেষণায় চীনের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। কার্যকর ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়ার পর যে দেশগুলোকে তা দেওয়া হবে, বন্ধুদেশ হিসেবে সেখানে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply