বাংলাদেশ সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকার কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার প্রিন্ট ভার্সনের ৪ নং পাতায় এই ক্ষমা চেয়ে ‘ভ্রম সংশোধন’ নামে সংশোধনী প্রকাশ করা হয়।
সংশোধনীতে বলা হয়, “লাদাকের পর ঢাকাকে পাশে টানছে বেইজিং শীর্ষক খবরে (২০-৬,পৃ ৮) খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী”।
এরআগে গত ২০ এ জুন আনন্দবাজারের এক প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় “বাণিজ্যিক লগ্নি আর খয়রাতির টাকা ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা নতুন নয় চিনের।” এরপরই দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে। এরই প্রেক্ষিতে দেশের আনন্দবাজারের দুই প্রতিনিধি এই নিউজ তাদের করা নয় বলে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
ওই প্রতিবেদন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি কুদ্দুস আফ্রাদ জানান, আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে গত ২০ জুনের একটি রিপোর্ট নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে ফেসবুকে। রিপোর্টটি ঢাকার ‘নিজস্ব সংবাদদাতা’র বরাতে প্রকাশিত হওয়ায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এ রিপোর্টটি আমার লেখা নয়। আমি নিজে এ রিপোর্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এরপরই আজ আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে সংশোধনী প্রকাশ করে।
তবে আনন্দবাজারের অনলাইন সংস্করণে ‘খয়রাতি’ শব্দের সংশোধন এখনও করা হয়নি।
টিবিজেড/
Leave a reply