অচিরেই মহামারির নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন সতর্কবার্তা দিয়ে আবারও পরীক্ষা ও আইসোলেশন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
করোনার ভয়াবহতা না কমলেও মধ্যপ্রাচ্যে শিথিল করা হয়েছে কড়াকড়ি। খুলে দেয়া হয়েছে ধর্মীয় স্থাপনাসহ বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে, বেড়েছে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অঞ্চলটিতে আক্রান্ত ১০ লাখের বেশি; প্রাণহানি ৩০ হাজারের কাছাকাছি। যার ৮০ ভাগই পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো।
তাতে প্রকাশ পেয়েছে ডব্লিউএইচও’র বিরক্তি। বলছে, রেকর্ড সংক্রমণ দেখলেও, মানুষের মধ্য নেই বিন্দুমাত্র সতর্কতা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, গেলো সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন সংক্রমিত হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। গত এক মাসে শনাক্ত হয়েছে মোট সংক্রমণের ৬০ ভাগ। এখনই ক্লান্ত হলে চলবে না। মহামারি থেকে মুক্তির সর্বোত্তম উপায় হলো সবধরণের পদ্ধতি গ্রহণ করা। এ জন্য পরীক্ষা বৃদ্ধি এবং আইসোলেশনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সুরক্ষার ব্যবস্থাও জরুরি।
এদিকে, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ সংঘাতময় দেশগুলোতে সংক্রমণ রোধে যুদ্ধবিরতির তাগিদ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফ্রান্সের স্থায়ী প্রতিনিধি নিকোলাস ডি রিভেরি বলেন, বিশ্বের সব অঞ্চলে এ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করাটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। করোনা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। তাই নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কড়াকড়ি প্রত্যাহারের কারণে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে মহামারি নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে।
Leave a reply