মহামারি যতই বৃহৎ আকারে থাকুক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি রাখা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

|

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

করোনাকালীন সময়েও স্বাস্থ্যখাতের সকল স্তরে সমান স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, গোটা বিশ্বে করোনার তাণ্ডব চলছে। এর কোনো ভ্যাক্সিন ওষুধ এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। কিন্তু তাই বলে করোনার বাইরেও মানুষের অন্যান্য রোগব্যাধি তো থেমে থাকবে না। কাজেই মহামারি যতই বৃহৎ আকারে থাকুক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কোনরকম ঘাটতি রাখা যাবে না। দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, গ্রামে সবখানেই এবং স্বাস্থ্যখাতের সকল স্তরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সমানভাবে অব্যাহত রাখতে হবে।

আজ শনিবার (১১ জুলাই) সকালে অনলাইন জুম মিটিং এর মাধ্যমে ৩১-তম বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর মহা দুর্যোগের সময়ে আজকের সকল আয়োজনকে মুজিববর্ষের তাৎপর্যের উপর উৎসর্গ করে বলেন, আমাদের অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতার নামে উদযাপিত মুজিববর্ষকে ঠিকভাবে পালন করতে পারছি না। তাই আজকের জনসংখ্যা দিবসের সকল কর্মকাণ্ড মুজিববর্ষের নামেই উৎসর্গ করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বর্তমানের করোনা ক্রান্তিকালে দেশের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালসমূহে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ে যে ৫২ হাজার কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সেজন্য তাদের প্রত্যেককে সাধুবাদ জানান ও মানুষের সেবায় প্রত্যেককে আরেও নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে সরকার দিবসটি ভার্চুয়াল মাধ্যমেই আয়োজন করেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে “Putting the brakes on Covid-19: how to safeguard the health and rights of women and girls now” যার বাংলা ভাবানুবাদ ঠিক করা হয়েছে, “মহামারি কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি”।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সীমিত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে আলোচনা সভা, প্রেস ব্রিফিং, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ, আইইসি ম্যাটেরিয়াল প্রণয়ন ও প্রচার করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রতিপাদ্য সঙ্গীত ও একটি প্রামাণ্য চিত্রও তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং ইউএনএফপিএ’র দেশীয় প্রতিনিধি ড. আশা টরকেলশন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আইইএম শাখার পরিচালক ড. আশরাফুন্নেছা।

ইউএইস/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply