করোনার মাঝে বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে জামালপুরের নিম্ন আয়ের মানুষ। একেতো করোনায় ৪ মাস ধরে কর্মহীন, তার মধ্যে বন্যায় মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
চলমান এই দুর্যোগে কিভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়েই দুশ্চিন্তা তাদের। খাদ্য সংকট কাটাতে চাইছেন সরকারি সহায়তা। এমনই এক ভুক্তভোগী ইসলামপুরের বামনা গ্রামের আফজাল সরকার।
আফজাল কাজ করতেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি ডায়িং কারখানায়। ২০ বছর ধরে স্ব-পরিবারে সেখানেই থাকতেন তিনি। করোনায় কাজ হারিয়ে মার্চের শেষ সপ্তাহে জামালপুরে চলে আসেন। ঋণ, ধার করে তৈরি করেন নতুন ঘর। এবার দু’দফা বন্যার কবলে পড়ে আবারও বিপাকে পড়েছেন তিনি।
তিনি জানালেন, বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও চারদিকে বন্যার থৈথৈ পানি। তাই কাজ না থাকায় কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন সে শঙ্কাতেই দিন কাটছে তার।
আফজালের মতো একই অবস্থা জামালপুর সদরের নাউভাঙা চরের চটপতি বিক্রেতা আমিরের। স্কুলের সামনে চটপটি বিক্রি করে সংসার চলতো তার। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সাথে বন্ধ হয়ে যায় তার একমাত্র আয়ের পথও।
আমির জানালেন করোনার এমন ভয়াল থাবার মাঝেই বানের জলে ঘর ডুবে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন শহর রক্ষা বাঁধে। এখন দু’বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম অবস্থা তার।
শুধু ইসলামপুরের আফজাল বা সদরের আমির নয়। একই অবস্থা জেলার ৭ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষদের। করোনার মাঝে বন্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বাধ্য হয়েই চাইছেন প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা, করছেন ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগও।
জামালপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য প্রত্যেককেই পর্যায়ক্রমে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া জামালপুরের ৭ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৯ ইউনিয়ন ও ৮ পৌরসভার সবগুলোই বন্যা কবলিত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ লাখ মানুষ।
Leave a reply