টানা এক মাস তিনি চুপ ছিলেন। সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড় তখন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অঙ্কিতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, অঙ্কিতা ভাল নেই। সুশান্তের এ ভাবে চলে যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারছেন না অঙ্কিতা।
অবশেষে সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক এক মাস পর অর্থাৎ গত ১৪ জুলাই মুখ খুলেছিলেন তিনি। একটি পোস্টেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার অন্তরের অভিব্যক্তি। আজ ২৪ জুলাই হটস্টারে আসছে সুশান্তের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’। আর ছবি মুক্তির ঠিক আগেই আবার একটি পোস্ট করেছেন অঙ্কিতা। যার পরতে পরতে শুধুই সুশান্ত।
যিশুখ্রিস্টের মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বলছে। পেছনে আবছা দেখা যাচ্ছে গণপতির মূর্তি। ক্যাপশনে লেখা, ‘যেখানেই রয়েছ, হাসিখুশি থেকো’। বুঝতে বাকি থাকে না কার কথা বলতে চাইছেন অঙ্কিতা। নাম না করেই তবে কি ভগবানের কাছে সুশান্তের শেষ ছবির জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নিলেন অঙ্কিতা?
সুশান্তের শেষকৃত্যের দিন দেখা যায়নি অঙ্কিতাকে। কিন্তু তার পরের দিনই সাদা সালোয়ার পরে, উস্কোখুস্কো চুলে সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পাপারাৎজির ফ্রেমবন্দি হয়েছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে পা টলে গিয়েছিল তার। চোখ জুড়ে শূন্যতা, মুখ জুড়ে বিষাদের কালো মেঘ। দু’জনের প্রথম দেখা ২০০৯ সালে ‘পবিত্র রিস্তা’-র সেটে।
প্রকাশ্যে দু’জনেই স্বীকার করে নিলেন, ‘ভালবাসি’। প্রায় সাত বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। দুই বাড়ি থেকেই জানত। বিয়ে করারও কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই তারা জানান, ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে। ঠিক কী কারণে যে ব্রেকআপ হয়েছিল তা আজও অজানা… তবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও দিনও কেউ মুখ খোলেননি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
Leave a reply