রাজধানীর আশপাশে ও দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যার পানি খুবই ধীরগতিতে নামছে। উত্তরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সব মিলিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে উত্তর-মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। এরমধ্যে বানভাসি মানুষ ঘরবাড়িতে ফিরতেও শুরু করছে। তবে, বিশুদ্ধ পানি খাবার সংকটে দুর্ভোগ কাটেনি।
খাদ্য সংকটের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার সংকটে ভুগছেন বানভাসিরা। তারা হাতের নাগালে কোনও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও স্বাভাবিক রোগ চিকিৎসায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ বানভাসিদের।
তুরাগ ও বংশী নদীর পানি এখনও রয়েছে বিপদসীমার উপরে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি টঙ্গী, গাজীপুর ও সাভারের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। জলমগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই।
মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুরে পদ্মার পানি কমছে ধীরগতি। রাস্তাঘাট এখনও তলিয়ে থাকায় স্বাভাবিক হয়নি যোগাযোগ। উত্তরের দুর্গত জেলাগুলোয় পানি নেমে যাওয়ায় ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। কাদামাটি সরিয়ে বসতঘর মেরামতে কাজ করছেন দুর্গতরা।
রোববার নদ-নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০১টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের মধ্যে ৮০টিতে পানি কমেছে। বেড়েছে ১৬টি পয়েন্টে।
আটটি নদীর ১১টি পয়েন্ট এখনও বিপদসীমার উপরে পানি বয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বন্যা আক্রান্ত জেলাও ১২টিতে নেমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
Leave a reply