এলোপাতাড়ি গুলির পর অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা ছিলো ট্যারেন্টের

|

ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর পর, অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা ছিলো শ্বেতাঙ্গ অপরাধী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের। ৪ দিনের বিচার শুনানির প্রথমদিন সোমবার উঠে আসে এ ভয়াবহ তথ্য।

এদিন, সরকারি কৌসুলি ঘটনার ২৬ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। যাতে বলা হয়, হামলার দু’মাস আগেই আল নূর মসজিদ এবং চারপাশের এলাকার ড্রোন ফুটেজ সংগ্রহ করেন ব্রেন্টন। হামলার জন্য শুক্রবার বাছাইয়ের কারণ হলো- সর্বোচ্চ জনসমাগম।

এছাড়া, হামলা চলাকালে তার গাড়িতে ছিলো আরও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র। অগ্নিসংযোগের জন্য ছিলো চারটি গ্যাস কন্টেইনার।

এসময়, আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন হামলার শিকার, প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতদের পরিবারের সদস্যসহ ৬০ জন। তাদের জবানবন্দি এবং যাবতীয় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে শাস্তি।

চার দিনের শুনানি শেষে, বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডের ঘোষণা করবেন চূড়ান্ত রায়। তবে, স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন, ২৯ বছরের অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভুত আততায়ী।

২০১৯ সালের মার্চে, ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ট্যারেন্ট। বাংলাদেশিসহ ৫১ মুসল্লিকে হত্যা, ৪০টি হত্যাচেষ্টাসহ মোট ৯২টি অভিযোগ সে স্বীকার করেছে ।

উল্লেখ্য, ১৯৬১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বন্ধ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply