কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার, কনস্টেবল মো. সুমন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম ও এএসআই মো. শামীমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ এক নারী মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার নয়াপাড়ার বাসিন্দা নুরুচ্ছবির মেয়ে। তিনি কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা।
এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, কনস্টেবল মো. সুমন (বর্তমানে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ঐ নারীর। এ সুবাদে বিয়ের কাবিনের কথা বলে গত ৭ জুলাই বেলা দুইটার দিকে রামুর খুনিয়াপালং চেকপোস্ট সংলগ্ন তার কক্ষে নিয়ে যান ওই নারীকে। কাজি আসার অপেক্ষার অজুহাতে কক্ষে বসিয়ে রাখেন। এবং পরে ধর্ষণ করেন।
এরপর চেকপোস্টের পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে বসিয়ে রেখে জরুরি কাজের বাহানা দিয়ে পালিয়ে যান সুমন। অবশেষে রাত এগারোটার দিকে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে জানান ভুক্তভোগী। তার কথামত উখিয়া থানায় গেলে ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ওসি মর্জিনা আকতার।
এরপর অভিযুক্ত ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে থানার একটি কক্ষে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি পায়ে রশি ও পরনের হিজাব দিয়ে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রাখারও অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী। মামলার আরজির সঙ্গে নির্যাতনের কিছু ছবিও যোগ করেন তিনি।
Leave a reply