চট্টগ্রামে ‘দি খ্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ থ্রিফট এন্ড ক্রেডিট ইউনিয়ন’ নামে এক সমবায় সমিতিতে নজিরবিহীন লুটপাটে, সর্বস্বান্ত সাড়ে ৩ হাজার গ্রাহক। লোপাট হয়ে গেছে তাদের জমানো ২৩ কোটি টাকা। অডিট রিপোর্টে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণদানে অনিয়মসহ নানা জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার পর ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। অভিযোগের তীর ব্যবস্থাপনা কমিটির ৩ সদস্যের দিকে।
৬৪ বছর আগে গড়ে তোলা এ সমিতিতে সাড়ে তিন হাজার গ্রাহক জমা করেন ২৩ কোটি টাকা। কিন্তু সবশেষ অডিট রিপোর্টে তহবিল প্রায় শূন্য দেখে সবার মাথায় হাত। ব্যবস্থাপনা কমিটির তিন সদস্য ম্যানেজার প্রবাল দিও, সেক্রেটারি চালর্সটেন ডি কস্তা ও চেয়ারম্যান পিন্টু লিওনার্ড ডায়েসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে রিপোর্টে।
এরমধ্যে ম্যানেজার প্রবাল দিও রুপালী ব্যাংক থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, সাউথইষ্ট ব্যাংক থেকে আত্মসাত করেছেন ১৫ লাখ টাকা ও নগদ সরিয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সেক্রেটারি চালর্সটেন ডি কস্তা আত্মসাত করেছেন নগদ ১৬ লাখ টাকা। চেয়ারম্যান পিন্টু লিওনার্ড ডায়েস আত্মসাত করেছেন নগদ প্রায় ২৬ লাখ টাকা
ব্যবস্থাপনা কমিটির এই ৩ সদস্য পরিবার পরিজনের নাম ভাঙিয়ে সমিতি থেকে ঋণ নিয়েছেন আরও ৪ কোটি টাকা। ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্নজনকে ঋণ দিয়েছেন, যার হদিস নেই। সমিতির নামে কেনা জায়গাও ছাড়েননি তারা। পাথরঘাটায় তিন তলা ভবনসহ জায়গাটি বোর্ড সভার অনুমতি ছাড়া বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন আরো ৬০ লাখ টাকা।
অডিটকারি প্রতিষ্ঠান ‘কালব’ এর ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, যেসব অনিয়ম খুঁজে বের করা দরকার তা আমরা বের করেছি কিন্তু আমরাতো পদক্ষেপ নেয়ার কেউ না। পদক্ষেপ তো নিবে সরকার।
বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি সমিতির ম্যানেজার প্রবাল দিওকে। কোথায় জানেনা পরিবারও।
চেয়ারম্যান পিন্টু লিওনার্ড দায় স্বীকার করে অডিট রিপোর্টে স্বাক্ষর করলেও, এখন তার দাবি সরকারি অডিট ভূয়া।
সমিতির চেয়ারম্যান পিন্টু লিওনার্ড ডায়েস বলেন, ২৬ লক্ষ টাকা এটা সম্পূর্ণ ভুয়া।
এতোবড় প্রতারণায় অবাক সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস তাদের।
কোতোয়ালী জোনের সমবায় কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম বলেন, যেহেতু এই অভিযোগ আমরা পেয়েছি আমরা এটা খতিয়ে দেখবো।
Leave a reply