দু’সপ্তাহের পরিকল্পনার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দেয়া হয়েছিল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। ঘটনার সাত মাস পর ১৭ হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে এমনটাই জানায় পুলিশ। বুধবার প্রথম এ তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হিসেবে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, তারা সবাই ছিলেন নাগরিকত্ব আইন বিরোধী। অধিকার কর্মী খালিদ সাইফি, কংগ্রেস নেতা ইশরাত জাহান, আম-আদমি নেতা তাহির হোসেন, আরজেডি নেতা মিরান হায়দারসহ অনেকে রয়েছেন এ তালিকায়। নাম নেই উমর খালিদ, শারজিল ইমামসহ আগেই গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের। ধাপে ধাপে তারাসহ আরও অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাগরিকত্ব বিতর্কে গেলো বছরের শেষ দিক থেকেই উত্তাল ছিলো দেশটি। এনআরসি, সিএএ’র সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সহিংসতায় প্রাণ যায় অর্ধশত মানুষের। সে সময় ধর্মীয় দাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় সংখ্যালঘু মুসলিমরা। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, উগ্রপন্থিদের সাথে অংশ নিতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদেরও। বিক্ষোভকারীদের পেটানোর পাশাপাশি ছিলো ধরপাকড় আর পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনাও।
Leave a reply